হেলথ ডেস্ক, ১২ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আরও আরও ১৩৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটিই দেশে একদিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২১ জনে। এ ছাড়া এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুসহ আরও চারজনের। সুস্থ হয়েছেন তিনজন। আজ রবিবার আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এ তথ্য তুলে ধরেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্তের ৫০ ভাগ রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া করোনায় এক শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে। তাদের নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় এক চিকিৎসকসহ তিনজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে মোট ৩৯ জন সুস্থ হলেন।
বর্তমানে সারাদেশে মোট ২০ হাজার ৫২৫জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন জানিয়ে ফ্লোরা বলেন, তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯ হাজার ১১১ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এক হাজার ৪১৪ জন আছেন।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের রোগী বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় মার্চের ৮ তারিখে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল। আর গত ৫ এপ্রিলের পর থেকে করোনায় আক্রান্ত অনেক বেশি শনাক্ত হতে থাকে।
গত ৬ এপ্রিল সোমবার ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। এদিন কারো সুস্থ হওয়ার জানায়নি আইইডিসিআর।
৭ এপ্রিল আক্রান্ত ৪১ মৃত্যু ৫। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন আর নারী ১৩ জন। এদিনও কেউ সুস্থ হননি।
৮ এপ্রিল বুধবার দেশে করোনা আক্রান্ত ৫৪ ও মৃত্যু তিন জনের। এরপর ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার একদিনে ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে গত চারদিনের তুলনায় এদিন মৃত্যু ছিল সবচেয়ে কম ১ জন। তবে এই দুইদিন কারো সুস্থ হওয়ার তথ্য নেই। ১০ এপ্রিল আগের দিনের তুলনায় আক্রান্ত কমলেও মৃত্যু বাড়ে। এদিন ছয় জন মারা যাওয়ার তথ্য জানানো হয়। আর নতুন আক্রান্ত হন ৯৪ জন। সুস্থ হননি কেউ। ১১ এপ্রিল শনিবার ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত ও তিনজনের মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। আজ ১৩৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২১ জনে।
Leave a Reply